নিজেকেই বড় মস্তান বলে দলের অন‍্য গোষ্ঠীর দিকে চ‍্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মন্ত্রী

12th October 2020 10:40 pm হুগলী
নিজেকেই বড় মস্তান বলে দলের অন‍্য গোষ্ঠীর দিকে চ‍্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মন্ত্রী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বড় মস্তান তো তপন দাশগুপ্ত, কি মস্তানি করবে ?  পোলবা দাদপুর ব্লকের ব্যথায় তৃণমূলের দলীয় কর্মী সভায় বিস্ফোরক রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, দলে মাতব্বরি করে কোন লাভ নেই। আমাকে হারানোর চক্রান্ত করলে আপনি চক্রান্তকে পড়বেন। আমি আবার একুশে জিতবো। আমি একুশে যার যার থেকে নামের তালিকা পাব আমার পুলিশ দু নম্বরী দের তালিকা তৈরি করবে। দুদিক দিয়ে মার শুরু হবে। একদিক দিয়ে বিজেপি সিপিআইএম আর ঘরের মধ্যে যারা শত্রু মীরজাফর তাদেরও আমি ছেড়ে কথা বলবো না। ১ ইঞ্চি মাটি ছাড়বো না। আমার কর্মীরা কষ্ট করবে, কর্মীরা দল করবে, কর্মীরা পোস্টার মারবে আর তুমি একটা ভোগ খোর দল ভাঙবে । বলছে আমি মস্তান, বড় মস্তান তো তপন দাশগুপ্ত আছে, কি মস্তানি করবে। ২০০৮ সালে মহানাদের চল্লিশটা গাড়ি নিয়ে সিপিএমকে মেরেছিলাম ভুলে গেছে সেসব দিন। এদিন তিনি হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কে আক্রমণ করেও বলেন, করোনার সময় গরীব মানুষকে খাবার দিয়েছি, আর লকেট সুন্দরী কোথায় আছে ?  কেউ নেই। আবার ভোট পাখি আসবে বলবে ভোট দিন। এদিন তিনি নাম না করে কিষান মোর্চার রাজ্য কমিটির সম্পাদক স্বরাজ ঘোষ কে উদ্দেশ্য করে বলেন, হারিটে একজন প্রোমোটার তার ছবি মুকুল রায়ের সাথে। সে আবার কোমড়ে মেশিন নিয়ে ঘোরে। সে জানেনা মেশিনের মুখটা উল্টো দিকে ঘুরাতে আমার এক মিনিট সময় লাগেবে। আমি আমার এলাকায় অশান্তি চাই না। আমার কর্মীদের কেউ আঘাত করলে আমি তোর চৌদ্দ পুরুষকেও ছাড়বো না।
এদিন পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্য ,তিনি বলেন, মন্ত্রীর মুখের যে ভাষা তাতে  বোঝা যায় এটা কোন দলের মন্ত্রী। তিনি নাকি সব থেকে বড় মস্তান। তিনি নিজেই বলছেন। তারা রাজনীতি করলেন কবে। যেদিন থেকে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সেদিন থেকে খুনোখুনি, বোমাবাজি, মারধর ভোট লুট করা ছিনতাই করা ছাপ্পা ভোট করা পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধানসভা ভোট এইভাবে জিতে এসেছে, মস্তানি করে গুন্ডামি করে। রাজনীতি তারা জানে না। করতেও পারবে না। তাই তারা আজকে হেরে বসে আছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।